সিঙ্গাপুর থেকে লন্ডনগামী ফ্লাইটে হার্ট অ্যাটাক হওয়ায় কলকাতায় নামিয়ে আনা হয়েছে পেরুর বয়স্কা যাত্রীকে। সঙ্গে তাঁর যুবতি মেয়ে এঞ্জেল। না বাংলা না ইংরেজি, কিছুই বোঝে না ওরা, কস্মিনকালে ভারতবর্ষের মাটি ছোঁয়নি ওদের কেউই। হাঁসপাতালে মা আর টুরিস্ট লজে মেয়ের দেখভালে ব্যাতিব্যাস্ত ইন্সপেক্টর রাজশেখর নন্দীর মাথায় এসে পড়েছে আরেক ভয়ঙ্কর দায়িত্ব। মাওবাদী দমন অভিযানে যে দুই ছাত্রকে আটক করেছিল রাজ, ছাড়া পেয়ে আত্মহত্যা করেছে তার মধ্যে একজন। জেরা চলাকালীন ওকে কি টর্চার করেছিল রাজ? সেই নিয়ে মানবাধিকার কমিশন বসেছে, দোষী প্রমাণিত হলে কঠোর শাস্তি পেতে পারে ও। এই অভিযোগের জেরেই রাজকে ছেড়ে গেছে ওর বউ, অ্যানথ্রপলজির লেকচারার স্মিতা।
রাজের জিম্মায় থাকাকালীন হটাৎ উধাও হয় এঞ্জেল। ক্রিমিনালদের ঠেক আর নিশিদ্ধপল্লি তোলপাড় করেও খোঁজ মেলে না। মন্দ লোকের পাল্লায় না পড়ুক, তবে কি মনের মিল পেয়েছে এমন কারুর সঙ্গে চলে গেছে এঞ্জেল? খালাসি ভিকিকে সঙ্গে নিয়ে শহর ছেড়ে বেরোয় ইন্সপেক্টর নন্দী। কোথায় সেই মানুষ যারা এঞ্জেলের মতই মুক্ত? ফুসফুসে অক্সিজেনের চেয়েও মনের অক্সিজেনের প্রতি যাদের লোভ।
পেরুর মেয়ের সন্ধানে মনের অজানা অলিন্দে ঢুকে পড়ে রাজ। পুলিশগিরির দায়দায়িত্ব ছাপিয়ে ন্যায়-অন্যায়ের আসল সর্তগুলো ভেসে ওঠে মরা নদীর চরায় আর মেঠো গানের সুরে। শেষমেশ নিজেকে কি খুঁজে পাবে রাজ? ওকে কি পুনর্জন্ম দেবে এঞ্জেল?
দে'জ পাবলিশিং (২০২০)
দামঃ ২০০ টাকা (ভারতীয়)