• তেজস্বিনী ও শবনম

    • ইরাক, ২০০৯। পৃথিবীর জটিলতম যুদ্ধ। আমেরিকান মেরিন ঘাঁটি গেড়েছে প্রাচীন মেসোপটেমিয়ায়, সঙ্গে আন্তর্জাতিক প্রেস কোর। ডজন খানেক রিপোর্টারের মধ্যে নিউ ইয়র্কের উদীয়মান তারকা তেজস্বিনী রায়। তেজী বলেই কমান্ডার লুকের শ্যেনদৃষ্টি এড়িয়ে যুদ্ধের আসল খবর খুঁজে বেড়াচ্ছে বাদামি চামড়ার ইন্ডিয়ান-আমেরিকান মেয়ে, আর এই নিয়েই নিত্যনৈমিত্তিক সংঘাত। ল্যান্ডমাইনে ঘায়েল সৈন্যদের রিপোর্ট পেশ করে আর্মি ক্যাম্প থেকে বহিষ্কৃত হতে হয়েছে পর্যন্ত, তবুও হাল ছাড়েনি তেজো। এদিকে অ্যারাবিয়ার বধ্যভূমিতে পৌঁছেছে আরেক আগন্তুক - সুন্দরবন থেকে পাচার হওয়া শবনম। কচি বয়সে চাকরির লোভ দেখিয়ে কাজের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিল ওকে - হরিয়ানার ব্রথেলে, সেখান থেকে দুবাইয়ের নাইটক্লাব, শেষমেশ ভয়ংকর এক মানুষ কেনাবেচার বাজারে। বহু তঞ্চকতার শিকার, এখন ও যুদ্ধের পণ্য, মেরিন ক্যাম্পের বেলিডান্সার, আশ্রয় বলতে পাতানো বেদুইন মা ওফরা। অদ্ভুত এক সম্পর্কের জালে জড়িয়ে পড়ে ক্রীতদাসী এবং সাংবাদিক। কিসের আদল ধরা পড়েছে ওই নর্তকীর মুখশ্রীতে? বিস্মৃত অতীত বর্তমানের দরজায় ঘা দিয়ে রিপোর্টার তেজোকে জাগিয়ে রাখছে রাতের পর রাত, এই নির্মম পৃথিবীতে ও-ই কি শবনমের একমাত্র আপনজন? ওকে বাঁচাতে হলে কেবলমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী হয়ে রইলে চলবে না, স্মৃতির অদৃশ্য সীমারেখা অতিক্রম করে সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিতে হবে। সুন্দরবনের ঢেউ মরুভূমি ভাসিয়ে দিলে তবেই কি পরিত্রাণ পাবে তেজস্বিনী আর শবনম?

      Amazon

      দে'জ পাবলিশিং (২০১৮)
      দামঃ ২০০ টাকা (ভারতীয়)

      Odia edition

    • feat_img